কলকাতা: কয়েকদিনের তীব্র অস্বস্তিকর গরমের পর রবিবার সকাল থেকেই জেলায়-জেলায় ঝড়বৃষ্টি (Stormy Rainfall)। সাতসকালেই ঘন কালো মেঘে ঢাকে আকাশ। সকালেই সন্ধ্যা নেমেছে, মুহূর্তের মধ্যে নামে বৃষ্টি। ঝড়-বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গে মৃত ৪। তারকেশ্বর, গাইঘাটা, মেমারিতে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির পুরশুড়ায় ঝড়ের জেরে ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে মৃত্যু একজনের। পাশাপাশি ধর্মতলা এলাকায় মেট্রো মলের উপরে বাজ পড়ে। বজ্রপাতের অভিঘাতে উঁচু পিলারের একাংশ ভেঙে রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। বিকেলের দিকে হতে পারে কালবৈশাখীও (kalbaisakhi) । হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস সত্যিই করেই, সকাল থেকে জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, বর্ধমান, কলকাতা সহ বেশ কয়েকটি জেলা ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া এবং গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের নাম লক্ষণ মালিক। এদিন ভোরে জমিতে চাযের কাজ করছিল ওই যুবক। হঠাৎই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে বজ্রপাত। তাতেই আহত হয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালের নিয়ে যায়। চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায় কৃষি জমিতে কাজ করবার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হল এক কৃষকের। মৃতের নাম নেপাল হালদার। মাঠে কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: লকেটের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে হুগলিতে বিক্ষোভ বিজেপির
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির পর কলকাতায় ২-৩ ডিগ্রি কমে তাপমাত্রা।
অন্য খবর দেখুন