রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, এই পাঁচটি শকুনকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল এবং শকুন গুলোকে রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। এখানেই তিন মাস চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর আজ ছেড়ে দেওয়া হল।
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে পরিবেশ থেকে হারিয়ে যাওয়া শকুন (Vulture) প্রজননের উদ্যোগ গ্রহণ করে বোম্বে নাচারাল হিস্ট্রি সোসাইটি (Bombay Natural History Society)। এরপরেই বক্সা বনদপ্তরের রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গলে শকুন প্রজননের প্রকল্প চালু করা হয়। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে উন্মুক্ত আকাশে কলার আইডি (PTT) লাগিয়ে শকুন মুক্ত করা হয়। এরপর তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখে বনদপ্তর। সেই পরীক্ষা সফল হওয়ায় এই নিয়ে চতুর্থ দফায় মোট ৩১টি হোয়াইট ব্যাক এবং ৫০টি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন উন্মুক্ত আকাশে মুক্ত করে বনদপ্তর। বনদপ্তরের এই উদ্যোগে বক্সা জঙ্গলে নানান প্রজাতির শুকুনদের আনাগোনা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর।