শিলিগুড়িঃ সন্দেশখালিই যে এবার বাংলার ভোটের তাদের বড় ইস্যু হতে চলেছে, ফের তা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শনিবার শিলিগুড়ির (Siliguri) কাছে কাওয়াখালির জনসভাতেও তিনি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এল তৃণমূলের চুরি, দুর্নীতির কথা। মোদি বললেন, লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে হঠানোর কাজ শুরু করতে হবে। উত্তরবঙ্গের সব কটি লোকসভা আসনে পদ্ম ফোটাতে হবে। একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল, বাম এবং কংগ্রেসকে এক বন্ধনীতে রেখে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করতে ভুললেন না। তাঁর অভিযোগ, অতীতে কংগ্রেস এবং বামেরা করেছে, বর্তমানে তৃণমূল উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা করে চলেছে। তাঁর দাবি, দশ বছর ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার উত্তরবঙ্গের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে তুলেছে। বিজেপি উত্তরবঙ্গের পাশে রয়েছে।
গত নয়দিনে এই নিয়ে চারবার মোদি বাংলায় এলেন। আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসতের পর এদিন শিলিগুড়ির সভাতেও মোদির ভাষণের অনেকটা জুড়েই ছিল সন্দেশখালি। তিনি বলেন, সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের উপর যেভাবে তৃণমূলের তোলাবাজরা অত্যাচার করেছে, তা আজ সারা দেশে চর্চার বিষয়। তৃণমূলের দুর্নীতিও লাগামছাড়া। শিক্ষা দুর্নীতিতে শিক্ষামন্ত্রী জেলে, রেশন দুর্নীতিতে খাদ্যমন্ত্রী জেলে। এই তো অবস্থা। একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে বঞ্চনার প্রতিবাদেই রবিবার তৃণমূল ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে। মোদি বলেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূল বঞ্চনার অভিযোগ তোলে। কেন্দ্র একশো দিনের টাকা পাঠায়। সেই টাকা তৃণমূল তোলাবাজদের পকেটে পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল প্রাক্তন বিচারপতির
পরিবারতন্ত্র নিয়ে ফের এদিন মোদি বিরোধী জোটকে আক্রমণ করে। বারাসতের মতো শিলিগুড়ির সভাতেও তিনি বলেন, দেশের ১৪০ কোটি মানুষই আমার পরিবার। বিরোধীরা আমার পরিবার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। দিদি তাঁর ভাইপোর কথা ভাবেন, কংগ্রেস নেতারা ছেলেমেয়েদের উন্নতি কীভাবে হবে, তা নিয়ে ব্যস্ত। আর বামেরা এই দুই দলকে তুষ্ট করে চলে।
এদিনের সমাবেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক নারী দিবসে কলকাতার রাস্তায় হাঁটেন। সাহস থাকলে তিনি সন্দেশখালিতে গিয়ে হাঁটুন। সেখানকার মহিলারা তাঁকে ঝাঁটা হাতে স্বাগত জানাবেন। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক এবং সাংসদরা। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকে এবার লোকসভায় টিকিট দেওয়া হয়নি। টিকিট পেয়েছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। বার্লা তাঁর বিরুদ্ধে নানান কথা বলছেন। তিনি মোদির সভায় থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন।
আরও খবর দেখুন