ধরমশালা: সেঞ্চুরি করলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং শুভমান গিল। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ইংলিশ বোলারদের উপর রীতিমতো রোলার চালালেন দু’জন। রোহিত শতরান পূর্ণ হল ১৫৪ বলে, গিল সেঞ্চুরি করলেন ১৩৭ বলে, তাও ৯৬ থেকে চার মেরে। সকালের সেশনে ৩০ ওভারে উঠল ১২৯ রান। ইতিমধ্যেই ৪৬ রানে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
এদিন ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী অত্যন্ত দামি কথা বলেন। তিনি জানান, ভারতে এসে টেস্ট সিরিজ জিততে হলে অভিজ্ঞ স্পিনার চাই। যেমন ২০১২-১২ সালে গ্রেম সোয়ান এবং মন্টি পানেসর জুটি এম এস ধোনির ভারতকে হারিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। টম হার্টলি, শোয়েব বশিররা নেহাতই তরুণ। তাঁদের দিয়ে একটা টেস্ট জেতা যেতে পারে, সিরিজ নয়।
আরও পড়ুন: টিকিটের দামে বৈষম্য! ডার্বি বয়কট বাগান কর্তাদের
শাস্ত্রীয় মত একেবারেই খাঁটি। হায়দরাবাদের র্যাঙ্ক টার্নারে তরুণ ইংলিশ স্পিনাররা ম্যাচ জিতিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরে আর নয়। অশ্বিন, জাদেজা, কুলদীপের সঙ্গে হার্টলি-বশিরদের পার্থক্য আরও স্পষ্ট হল ধরমশালায়। এইচপিসিএ স্টেডিয়ামে বল ঘুরছে কিন্তু মাইনফিল্ড মোটেই নয়। এই উইকেটে কতটা সাইড-স্পিন, কতটা টপ-স্পিন দিতে হবে, গতি কেমন রাখতে হবে তা একেবারে সঠিক আন্দাজ করেছিলেন কুলদীপরা। এই জায়গাতেই পিছিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার।
তাছাড়া লাইন-লেন্থ নিয়ন্ত্রণেও অভিজ্ঞতার অভাব ছিল স্পষ্ট। শুক্রবার দিনের প্রথম সেশনে স্পিন-জুটিকে অনায়াসে খেলে দিলেন রোহিত এবং শুভমান। স্পিনারদের স্টেপ আউট করে একের পর এক ছয় মারলেন দ্বিতীয়জন। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, রানের পাহাড় খাড়া করো, যাতে চতুর্থ ইনিংসে আর ব্যাট করতে না হয়। স্পিনের বিরুদ্ধে ইংলিশ ব্যাটারদের খেলার যা নমুনা দেখা গিয়েছে, তাতে লিড বড়জোর ৩৫০ হলেই যথেষ্ট।