সুন্দরবন: সুন্দরবনের নদীতে মিলল ১০৯টি বিশাল আকারের ভোলা মাছ। রবিবার সন্ধ্যায় ওই মাছগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের মাছ আড়তে। প্রতিকেজি ৯০০ টাকা হিসাবে মোট কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রি হয় ওই মাছগুলি। প্রশাসনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৪ এপ্রিল থেকে জপন মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। অথচ সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কী করে এত মাছ উঠল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিন সন্ধেয় জমে ওঠে ক্যানিংয়ের মাছ বাজার। এত ভোলা মাছ পেয়ে ভীষণ খুশি ক্রেতারা। কিন্তু সরকারি নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিষেধ অমান্য করে মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গেলেন, এত মাছ আড়তেও নিয়ে গেলেন, তবুও প্রশাসনের নজরে পড়ল না। তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মূলত ভোলা মাছ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। অপারেশনের পর সেলাইয়ের কাজে এই মাছের পটকা ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ওষুধের খাপ তৈরিতে কাজে লাগানো হয় এই মাছ। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, ওষুধ তৈরির জন্য বিদেশের বাজারে তেলিয়া ভোলার শরীরের বিভিন্ন অংশের কদর আছে। যা এই মাছকে আরও দামি করে তুলেছে।