বেঙ্গালুরু: মাধ্যমিকে পশিচমবঙ্গে পাশের হার ১০০ শতাংশ। করোনা আবহে স্কুলের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতে সকল পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। প্রথম ৬৯৭ পেয়ে প্রথম হয়েছে ৭৯ জন। যা নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। একই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কর্ণাটকে। তবে সেখানে বিষয়টির মধ্যে অস্বাভাবিক কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন- প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা যোগীর রাজ্যে
এ বছর পশ্চিমবঙ্গে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৭৪৯ জন। সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৬৯৭। মোট ৭৯ জন এই নম্বর পেয়েছে। আর কর্ণাটকের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা দুই হাজার ২৩৯ জন। আর এরা সকলেই মোট ১০০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছে। অর্থাৎ মোট পরীক্ষার ৬০০ নম্বরের পুরো নম্বর পেয়েছেন ২২৩৯ জন। এমনই ছবি দেখা গিয়েছে ওই রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণীর ফলাফলে।
আরও পড়ুন- শহিদ দিবসের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি
প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ পড়ুয়া করণাটকের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছিলেন। যাঁদের সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। ওই রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশের পাঠক্রম পিইউসি বা প্রি ইউনিভার্সিটি কোর্স(PUC) নামে পরিচিত। সেই পরীক্ষায় পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়ার বহর বেশ ভালো। পশ্চিমবঙ্গের মতো নয়। সেই কারণে করোনা আবহে ওই রাজ্যের পড়ুয়াদের খুব বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে এমন নয়। তাই বাংলার পড়ুয়াদের মতো তাদের ট্রোলের শিকার হতে হয়নি।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে ৪৫ শতাংশ নম্বর না পেলে একাদশের বিজ্ঞানে ভর্তি নয়
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সম্পূর্ণ ১০০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার চল নেই। ৮০ বা ৯০ শতাংশ নম্বর পেতেই যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। সেই কারণে ১০০ শতাংশ পাশের হার এবং ৯৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে ৭৯ জনের প্রথম হওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। একই দিনে দ্রাবিড় ভূমির রাজ্যে সমতুল ঘটনা ঘটলেও সেখানে বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক।