কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বুধবার সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day)। তার আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা দেশকে। অন্তর্ঘাত, নাশকতা বা জঙ্গি হানার আশঙ্কায় নিরাপত্তা কঠোর করা হয়েছে এরাজ্যেও। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতা (Security) নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে।
অন্য দিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ২১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় শহীদ সপ্তাহের ডাক দিয়েছে মাওবাদীরা। পাশাপাশি আগামী ২৭ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে মাওবাদীরা বনধের ডাক দিয়েছে। শুধু তাই নয় রেলের উপরে বড় নাশকতার ছক কষতে পারে মাওবাদীরা। তাই তার আগেই নাশকতা রুখতে জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে আরপিএফ ও জিআরপি।
আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট সিট, সিবিআইয়ের
সেইমতো মঙ্গলবার হাওড়াতে স্টেশন চত্বরে চলে নাকা চেকিং। জিআরপি ও আরপিএফের পক্ষ থেকে স্নিফার ডগ দিয়ে বালি ব্রিজের উপর রেললাইনে চলে তল্লাশি। কোনও নাশকতামূলক ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও পুলিসের তরফে বিভিন্ন গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। হাওড়া স্টেশনেও রেল পুলিশের তরফে ট্রেনের বগি ও স্টেশন চত্বরে তল্লাশি চালানো হয়। যাত্রীদের লাগেজও খুলে তল্লাশি করে দেখা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার কোলাঘাট ব্রিজের কাছে জেলা পুলিসের তরফে চলে নাকা চেকিং। অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে পূর্ব মেদিনীপুর ঢোকার প্রবেশদ্বার পাঁশকুড়া থানা রাতুলিয়াতেও একই চিত্র। সবমিলিয়ে আঁটসাঁট নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে জেলাকে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিস সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, পর্যটনকেন্দ্র দীঘায় পর্যটক কম থাকলেও বিভিন্ন হোটেলে চলে তল্লাশি অভিযান। বিভিন্ন জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য সড়কের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিতে জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে তল্লাশি করা হয়। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া রেল স্টেশনে তৎপর কাটোয়ার জিআরপি ও রেল পুলিস। জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। প্রত্যেকটি ট্রেনের বগিতে তল্লাশি চালাচ্ছে রেল পুলিস।
জলপাইগুড়ির চিত্রটাও একইরকম। শহরের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান চালিয়ে পর্যটকদের পরিচয়পত্র খতিয়ে দেখছেন স্বয়ং জলপাইগুড়ি পুলিস সুপার দেবর্ষি দত্ত। সীমান্তবর্তী থানাগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা দফতরের কর্মীরা জেলা জুড়ে পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজরদারি চলছে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর জেলা পুলিসের। মঙ্গলবার জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ও ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ও বালুরঘাট শহরজুড়ে পুলিসের টহলদারি ও নাকা চেকিং চলে। প্রতিটি যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। প্রসঙ্গত তিনদিন আগেই পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে পার্সেল বোমা বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হন। সেই কথা মাথায় রেখে আরও তৎপর জেলা প্রশাসন।