সিউড়ি: মিষ্টির দোকানে (Sweet Shop) দইবড়া খেয়ে অসুস্থ (Sick) প্রায় ৫০ জন। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি অনেকেই। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলাম। কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট। মিষ্টির দোকানে শাটার বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। বিরাট উত্তেজনা বীরভূমের বোলপুরের শান্তিনিকেতনে মিষ্টির দোকানে। অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মিষ্টির দোকানের মালিক।
বীরভূমের বোলপুরে শান্তিনিকেতন রোডের উপর সুপার মার্কেটে বহু বছরের পুরনো মিষ্টির দোকান রয়েছে। দুদিন আগে মিষ্টির দোকানে দইবড়া খেয়ে বোলপুর শান্তিনিকেতনের প্রায় ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অসুস্থ। কেউ ভর্তি রয়েছেন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কেউ আবার ভর্তি হয়েছেন বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতালে। সকলের পেটের সমস্যা। মাথা ঘুরছে। শরীর ভীষণ দুর্বল। চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: সক্রিয়ভাবে দল করি না, বললেন সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক
দিন কয়েক ধরে দইবড়া আতঙ্কে ভুগছে বোলপুর শান্তিনিকেতন। অথচ কোনও হেলদোলই নেই মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মন্ডলের। এদিন অসুস্থ হয়ে পড়া মানুষজনদের পরিজনরা জমায়েত করে শান্তিনিকেতন রোডের উপর ওই মিষ্টির দোকানের সামনে। ভরা বাজার। প্রচুর মানুষজন। বিক্ষুব্ধরা মিষ্টির দোকানের সামনে দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পর দোকানের শাটার বন্ধ করে দেয়।
সেই সময়ই আবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বীরভূম শাখার কর্মীদের নিয়ে হাজির মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মন্ডল। মিষ্টির দোকানে ক্ষোভের আগুন জ্বলছিল বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। মিষ্টি ব্যবসায়িক সংগঠনের লোকজন ও মিষ্টির দোকানের মালিককে সামনে পেয়ে ক্ষোভ বেড়ে যায় বিক্ষুব্ধদের মধ্যে।
বিক্ষুব্ধদের মধ্যে সৈকত কুমার সিংহ হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণেন্দু হাজরা, তাঁর ভাগ্নি দইবড়া খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁদের অভিযোগ, ওই মিষ্টির দোকান থেকে দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে প্রায় ৫০ জন। কেউ হাসপাতালে ভর্তি। কেউ আবার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। মিষ্টির দোকানের মালিক কোনও খবর নেয়নি। এভাবে দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমরা চাই মিষ্টির দোকানের মালিকের কঠোর শাস্তি হোক। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আমরা ৭০ বছর ধরে মিষ্টির ব্যবসা চালিয়ে আসছি। এ ধরনের ঘটনা প্রথম। কোনও চক্রান্ত হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মিষ্টির কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখব। কর্মীরা চক্রান্ত করে কিছু করেছি কি না। তবে পুরো ঘটনার দায় স্বীকার আমি করছি। মন্তব্য মিষ্টির দোকানের মালিকের।
আরও খবর দেখুন