ভাঙড়: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote ) মিটলেও শান্ত হচ্ছে না ভাঙড় (Bhangar)। মঙ্গলবার রাতে ফের গুলি, বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। এবার গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের এক পরাজিত প্রার্থী। গুলি লাগে চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী হাতেম মোল্লার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগের তির আইএসএফের দিকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তপ্ত এলাকা। ঘটনাস্থলে পুলিশ।
তৃণমূল প্রার্থীর কানের পাশে গুলি লেগেছে বলে তাঁর পরিবারের দাবি। অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যা বেলায় হাতেম মোল্লা কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে বাড়ি ফেরার পথে আইএসএফ-এর বেশ কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরে। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মাথা ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় গুলিটি। এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটকপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। তড়িঘড়ি তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে কলকাতার হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: TMC Team | Manipur | মণিপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল, পাঁচ সদস্য ঘুরে দেখবেন এলাকা
ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কাশীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাশীপুর থানার পুলিশ। ঘটনায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি আইএসএফের তরফে।
কোনও ভাবেই ভাঙড়কে শান্ত করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার রাতেও গুলি চলেছে। প্রায় প্রতিটি অভিযোগ নওশাদের বিরুদ্ধে। এলাকার বিধায়কেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বোমা গুলি সন্ত্রাস কায়েম হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি চান না, তাই ভাঙড়ে শান্তি ফিরছে না। ওনারা হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে ভাঙড়ে নিজে থেকেই শান্তি ফিরে আসবে। নওশাদকে তো আটকে দিয়েছে। ঢুকতেই পারেনি। তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিভাবে সম্ভব? অত্যাচারের প্রতিবাদ করলে যদি তাকে অভিযুক্ত করা হয়। যদি তৃণমূল মনে করে ওটা মুক্তাঞ্চল এবং ওখানে ওরাই দাপিয়ে বেড়াবে, তাহলে তো প্রতিরোধ হবেই।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোণার পর থেকে বারে বারে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়ে ভোট-সন্ত্রাসে এ পর্যন্ত ৭ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। মনোনয়ন পর্বে তৃণমূল ও আইএসএফের অশান্তিতে মৃত্যু হয় ৩ জনের। ১১ জুলাই ভোটগণনার রাতে গণ্ডগোল শুরু হয় ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের কাঠালিয়া স্কুলের গণনাকেন্দ্রে। চোখের নিমেষের তা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পড়তে থাকে মুহুর্মুহু বোমা। দাবি, আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। আইএসএফের অভিযোগ ছিল, পুলিশের গুলিতেই মৃ্ত্যু হয়েছে তাঁদের তিন সমর্থকের।