বসিরহাট: শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজত হয়েছে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী জানান, শুধু সন্দেশখালির মানুষের স্বার্থে নয়, গোটা ভারতের স্বার্থে ওঁকে হেফাজতে চাইছি। সন্দেশখালিতে যে সিন্ডিকেট চলত তার কিংপিন শাহজাহান। আদিবাসীদের জমি দখলের কিংপিন। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে অনেকে জড়িত আছে। তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু ধরা যায়নি।
ইডির বক্তব্য, ফিশারির ভুয়ো মালিক দেখিয়ে তাদের থেকে মাছ কিনত শাহজাহান। মাছ কেনার পর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাত। সেই টাকা আবার নগদে চলে আসত শাহজাহানের কাছে। শাহজাহানের কোম্পানির নাম শেখ সাবিনা। এই কোম্পানি মারফত মাছ কেনা বেচা করত শাহজাহান। জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া জমি দেওয়া হয় অন্য লোককে। তার থেকে টাকা তোলে। সেই টাকা নগদে নেয়। তাকে বলা হয় ওই ফিশারিতে যা মাছ হবে সেগুলো শাহজাহানকে দিতে। সেই মাছ নিয়ে বিক্রি করে শাহজাহান। সব লোকই শাহজাহানের। মাছ যার কাছে যাচ্ছে তাকে ইতিমধ্যে শাহজাহান নগদে টাকা পাঠিয়ে রেখেছে। ওই লোকটা মাছ নেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠা্ত। কালোে টাকা সাদা হত।
আরও পড়ুন: রবিবারের ঘূর্ণি ঝড়ে ১১টি ভোটকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, জানাল নির্বাচন কমিশন
গত শুক্রবার সিবিআই হেফাজত থেকে শাহজাহানকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। শনিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শাহজাহানকে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও খবর দেখুন